সেই ৭ জঙ্গি এখন কারাগারে




বিস্ফোরক মামলায় জামিন পাওয়ার পর বরিশাল জেল গেট থেকে কথিত নিখোঁজ হওয়া ঝালকাঠির সাত হুজির সদস্যকে তিনদিন পর আবারও গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে পুলিশ তাদের ঝালকাঠি মূখ্য বিচারিক আদালতে হাজির করেলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।HUJI-PH-1






হুজির সাত সদস্যরা হলেন- নলছিটি উপজেলার নচরমহল গ্রামের মোহাম্মদ বাকি বিল্লাহ, মো. নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে সোহাগ, মোহাম্মদ জোবায়ের, মোহাম্মদ আবুল বাশার, সিরাজুল ইসলাম ও মিনহাজুল।
পুলিশ জানায়, রবিবার গভীর রাতে জেলার নলছিটি উপজেলার আমিরাবাদ গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কার্যকলাপ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ৫৪ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হলে ঝালকাঠি মূখ্য বিচারিক হাকিম আবু শামিম আজাদ সাত হুজি সদস্যকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে পুলিশি শুনানির জন্য আগামী ২২ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন।
এদিকে ওই সাত হুজি সদস্যের পরিবার বরিশালে এক সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছে, গত বৃহস্পতিবার জামিন পাওয়ার পর বরিশাল জেল গেটে থেকে তারা নিখোঁজ হয়।
আদালতে বসে হুজি সদস্যরা জানান, ১০ নভেম্বর বিকালে জামিন পাওয়ার পর জেলখানা থেকে বের হবার সময় জেল গেটেই সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করে মাইক্রেবাসে তুলে কালো কাপর দিয়ে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়। পরে একটি কক্ষে চোখ বাঁধা অবস্থায় তাদেরকে আটকে রাখা হয়। সেখানে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তিনদিন পর রবিবার রাতে চোখ বাঁধা অবস্থায় তাদেরকে গাড়ি থেকে ফেলে রেখে চলে যায় ওই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা। পরে টহল পুলিশ তাদের নলছিটি থানায় নিয়ে যায়।
নলছিটি থানার উপ-পরিদর্শক ফিরোজ আহমেদ জানান, নলছিটি উপজেলার আমিরাবাদ স্কুলের সামনে থেকে সাত হুজির সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কথাবর্তায় অসংলগ্ন মনে হলে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের খাদেমুল ইসলাম কওমি মাদ্রাসাসংলগ্ন মসজিদে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় জঙ্গি সন্দেহে ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি হ্যান্ড গ্রেনেড, চারটি রামদা, ৮টি মোবাইল সেট ও বেশ কয়েকটি জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নলছিটি থানার উপ-পরিদর্শক মাহামুদুল হাসান বাদী হয়ে ওই বছরের ১৫ আগস্ট মামলা করেন। একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ওই মামলায় ২০১৬ সালের ৫ জুন সন্ত্রাস দমন আইনে ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত জঙ্গিনেতা মশিউরসহ ৯ জনকে ৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই ৯ জনের মধ্যে ৭ জন জামিনে পেয়ে বরিশাল কারাগার থেকে মুক্ত হয়।
/এআর/