মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

বরগুনাবরগুনায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মিজান হত্যা মামালায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন।  মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মো. নুরুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান, জাহানারা বেগম ও আবেদ আলী। তাদের সবার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের বেতমোড় গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আ. মালেক লসকরের ছেলে মিজানের সঙ্গে তার চাচাতো চাচা নুরুল ইসলামের মেয়েকে নিয়ে পারিবারিক বিবাদ ছিল। ২০০৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে নুরুল ইসলাম পরিকল্পিতভাবে মাছ ধরার কথা বলে মিজানকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। পরে মিজানের গলাকাটা লাশ তার নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মিজানের বোন মুন্নি বেগম  বাদী হয়ে পাথরঘাটা থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। ঐ বছরের ২২ নভেম্বর নুরুল ইসলামের ঘরের পেছনে মিজানের রক্ত মাখা জামাসহ কিছু আলামত পায় পুলিশ। এর সূত্র ধরে ৩০ ডিসেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শহীদুল ইসলাম। এ মামলায় ২৪জন সাক্ষীর মধ্যে আদালত ২১জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন করে। আজ যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ৪ আসামিকে যাবজ্জীবন প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে বরগুনার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আক্তারুজ্জামান বাহাদুর বলেন, ‘আমরা এ মামায় আদালতের কাছে সবোর্চ্চ সাজা দাবি করি। এ রায়ে আমি আদালতের প্রতি সন্তস প্রকাশ করছি।’

আসামি পক্ষের আইনজীবী তোফাজ্জেল হোসেন কিসলু তালুকদার বলেন, ‘এ রায়ে আমরা (আসামি) পক্ষ সন্তষ্ট নই। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

/এমডিপি/