ঝালকাঠিতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ঝালকাঠিঝালকাঠির রাজাপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে মো. ইব্রাহিম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত বুধবার(৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার কানুদাসকাঠি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা জানাজানি হলে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (নং-২) দায়ের করেছেন।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী কানুদাসকাঠি গ্রামের দিনমজুর মো. পনির হাওলাদারের মেয়ে ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত ৯টার দিকে ওই ছাত্রী নিজ বাড়ির চাচাতো বোনের ঘর থেকে নিজ ঘরে ফিরছিলেন। এসময় একই বাড়ির শহিদুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া ছেলে মো. ইব্রাহিম মাফলার দিয়ে মুখ বেঁধে বাড়ির দক্ষিণ পাশের বাগানে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এসময় ছাত্রীর বাবা বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি বাগানের ভেতর শব্দ শুনে এগিয়ে এসে অভিয্ক্তু ইব্রাহিমকে ধরে সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে ইব্রাহিমের বাবা-মা এসে স্কুলছাত্রীর বাবা পনিরকে মারধর করে ছেলেকে ছাড়িয়ে নেন। মেয়েটির পরিবার সম্মানহানীর ভয়ে কাউকে কিছু না জানালেও বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে শুক্রবার রাতে ছাত্রীর বাবা রাজাপুর থানায় একটি মামলা করেন।

ছাত্রীর বাবা পনির হাওলাদার জানান, এর আগেও ইব্রাহিম গ্রামের একাধিক ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। নিজেদের সম্মান বাঁচাতে এবং তারা এলাকায় প্রভাশালী হওয়ায় তাদেরকে কেউ কিছু বলছে না। স্থানীয় একটি মহল ঘটনাটি ১০হাজার টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করার জন্য চাপ দিচ্ছে বলেও তিনি জানান।

রাজাপুর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলা দায়েরের পর ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার ফলাফল হাতে পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

ঝালকাঠির সিভিল সার্জন আবদুর রহিম জানান, ঘটনার দুদিন পর ডাক্তারি পরীক্ষা করায় আলামত নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ভিকটিমের যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারি পরীক্ষা করানো উচিত।

/এআর/