রাজাপুরে ঘুমন্ত পরিবারের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

RUBLEঝালকাঠির রাজাপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় এক পরিবারের বসতঘরে হামলা ও জমি দখল চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার উপজেলা  ছাত্রলীগ সভাপতি আহসান হাবিব রুবেলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক রুবাইয়া আমেনা এ আদেশ দেন। এ ছাড়াও দুইজন জামিন পেয়েছেন।

জামিনে মুক্ত আসামিরা হলেন আবু ছালেহ (২৮) ও রাসেল (২৬)।

প্রসঙ্গত, শনিবার রাত ৪টার দিকে রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব রুবেলের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল স্থানীয় ডিগ্রি কলেজের পশ্চিম পাশে ফারুক ফরাজীর বসতঘরে হামলা চালায়। তারা ঘুমন্ত পরিবারের ওপর হামলা চালায় ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। হামলায় পরিবারের সাতজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রুবেল, তার মা হোসনেয়ারা বেগমসহ পাঁচজনকে আটক করে। পরে রুবেলের মাসহ দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ফারুক ফরাজীর স্ত্রী সাহেরা বেগম বাদী হয়ে রবিবার রাতে রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে রাজাপুর থানায় একটি মামলা করেন।

এ ব্যাপারে রাজাপুর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশীদ জানান, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হলেও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত রুবেলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। জামিন পেয়েছেন দুই আসামি। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

রাজাপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আবুল কালাম জানান, রুবেলের বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধ ডজন মামলা ও সাধারণ ডায়েরি রয়েছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনিরের ছোট ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান রুবেলকে হত্যা চেষ্টা মামলায় দীর্ঘদিন জেল খাটেন আহসান হাবিব রুবেল।

তিনি আরও জানান, রুবেলের বাবা তোফাজ্জেল হোসেনের বিরুদ্ধেও হত্যা, হত্যা চেষ্টা, ছিনতাই, মারামারিসহ প্রায় ২০টিরও বেশি মামলা রয়েছে রাজাপুর থানা ও আদালতে। র‌্যাবের হাতে একাধিকবার অস্ত্র, গুলিসহ গ্রেফতার হন তোফাজ্জেল হোসেন। তোফাজ্জেল ও তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন মানুষের জমি দখলের জন্য তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন বলেও জানান এসআই।

/বিটি/