রাজু মোল্লা ওরফে ছোট রাজু দীর্ঘদিন ধরে এই বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছে। সে ২০১২ সাল থেকে সুন্দরবনে জলদস্যুবৃত্তি করে আসছে বলে জানান র্যাব-৮ এর উপ অধিনায়ক মেজর আদনান কবির।
মেজর আদনান কবির আরও জানান, ছোট রাজু বাহিনী পূর্ব সুন্দরবনের মংলা, হাড়বাড়িয়া, ভদ্রা এবং বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলের সবচেয়ে সক্রিয় জলদস্যু বাহিনী।
আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুরা হলেন জলদস্যু ‘ছোট রাজু’ বাহিনীর প্রধান রাজু মোল্লা ওরফে ছোট রাজু (৪৮), বাহিনীর সদস্য মনিরুল ইসলাম (৩৫), সিরাজুল ইসলাম গাজী (২৯), আফজাল হোসেন (২৫), হারুণ সরদার (৩৮), বিল্লাল গাজী ওরফে ম্যাজিক বিল্লাল (৩৬), খতিব গাজী (৩৭), মিকাইল গাজী (৩৭), কামরুল সরদার (৩৯), ফরহাদ সরদার (২৬), সালাম গাজী (৩৭), মিলন শেখ (২৫), ফরহাদ গাজী (৩২), সাব্বির শেখ (৪২) ও মনিরুল গাজী মনি (৩৯)।
র্যাব ৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জানান, ছোট রাজু বাহিনীর সদস্যরা ২৯ মার্চ এক অভিযানে র্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর উদ্ধারকৃত অস্ত্র সরঞ্জামসহ দস্যুদের প্রথমে বাগেরহাট জেলার মংলা থানাধীন বিএফডিসি ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই সময় ছোট রাজু বাহিনীর কাছ থেকে পাঁচটি বিদেশি একনলা বন্দুক, পাঁচটি বিদেশি দোনলা বন্দুক, পাঁচটি এয়ার রাইফেল, দুটি বিদেশি .২২ রাইফেল, চারটি ওয়ান শুট্যারসহ মোট ২১টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং এক হাজার ২৩৭ রাউন্ড বিভিন্ন প্রকার গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গত ১০ মাসে মোট ৯টি বাহিনীর ৯২ জন জলদস্যু ১৯৫টি অস্ত্র ও ১০ হাজার ১৪৩ রাউন্ড গোলাবারুদসহ র্যাব-৮ এর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
/বিএল/