আ.লীগ সমর্থকদের হাতে ৩ বিএনপিকর্মীর আহত হওয়ার অভিযোগ

Barisal--Photo--Three-BNP-activists--injured--by-rival-AL-activists-in-connection-of-upcoming-Wazirpur-UP-election.docবরিশালের উজিরপুরের শিকারপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে বিএনপির তিন কর্মীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৪ মে) রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত তিন বিএনপিকর্মী হলেন- মো. মাইনুল ইসলাম (৩০), মেহেদী হাসান (২২) ও ইমরান হোসেন (২৩)। তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতরা সোমবার (১৫ মে) জানান, আগামী ২৩ মে শিকারপুর ইউপি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (১৪ মে) রাত ৮টায় মাদার্শী খান বাড়ি থেকে বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর কামরুজ্জামান পিকিং তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে উঠান বৈঠক শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা অতিক্রম করার সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাই ইকবাল হোসেন ও তার সহযোগী রিপন,জুয়েলসহ ২০/২৫ জন ধারালো অস্ত্র-লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তারা তিনজন আহত হন।

পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর কামরুজ্জামান পিকিং বলেন, ‘আমি নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে উঠান বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরোয়ার হোসেনের সহোদর ও তার সহযোগীরা যে হামলা চালিয়েছে তা পরিকল্পিত। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক নির্বাচনি দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি।’

এদিকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরোয়ার হোসেন এ ঘটনার সঙ্গে তার বা তার কর্মীদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় বিএনপির
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই তাদের কর্মীরা আহত হয়েছে। এটা এলাকাবাসিরাও জানেন এবং নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনেই তারা এখন বিভিন্ন অজুহাত সৃষ্টির পায়তারা করছে।’

উপজেলা রিটানিং ও নির্বাচন অফিসার মো. জসিম উদ্দিন জানান, এ ব্যাপারে তিনি এখনও বিএনপির প্রার্থীর কাছ থেকে লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ পাননি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা বলেন, এখনও প্রার্থীর কাছ থেকে লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ পাইনি।

/এআর/