হত্যাচেষ্টা মামলায় বরিশাল সিটির নারী কাউন্সিলর গ্রেফতার

গ্রেফতারের পর আদালতে বরিশাল সিটির কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপাসাপুড়ে মান্না পাহাড়িকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৬, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে নগরীর ব্রাউন্ড কম্পাউন্ড দ্বিতীয় লেনের বাসা থেকে তাকে ধরেছে আইনশৃক্সখলা বাহিনীর সদস্যরা।
মান্নার স্ত্রী কাজল বেগম বুধবার (১৯ জুলাই) রাতে রূপাকে আসামি করে আরও ছয় জনের বিরুদ্ধে মান্না পাহাড়িকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। অন্য আসামিরা হলো সরজিৎ চন্দ্র রায় ওরফে সবুজ, মো. ফিরোজ, মাসুদ মোল্লা ও রফিকুল ইসলাম বাদশা এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই জন।
রূপাকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন। তিনি জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. রেজাউল ইসলাম শাহ’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপার বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার রূপাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক তাকে বিকালে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে হত্যার হুমকি দেওয়ায় মান্না পাহাড়ি তিন মাস আগে রূপার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। গত ১৭ জুলাই জিয়া সড়কে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় মান্না পাহাড়িকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মান্না পাহাড়ির স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, কয়েক মাস আগে তাকে সাপের বাক্সে ইয়াবা বহনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন যুবলীগ কর্মী তরিকুল ইসলাম রাজা। এতে রাজি না হওয়ায় মান্না পাহাড়িকে হত্যার হুমকি দেন কাউন্সিলর রূপা ও তার সহযোগী রাজা। ওই ঘটনায় রূপা ও রাজার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন মান্না পাহাড়ি।

এর জের ধরে রূপার নির্দেশে রাজার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ১৭ জুলাই রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে মান্না পাহাড়িকে নির্মমভাবে কুপিয়েছে। এই ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে পুলিশ কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করে বলে জানান ওসি আওলাদ।

/জেএইচ/