হামলার ছবি তোলার সময় আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ফারুক মোল্লাকে পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।
পুলিশ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে। বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে গৌরনদী পৌর ছাত্রদল ও যুবদলের উদ্যোগে সোমবার বিকালে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক এম মাহফুজ মোল্লার বাড়ি দক্ষিণ পালরদীস্থ বাসভবনে কেককাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অনুষ্ঠান শুরুর আধা ঘণ্টা পর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান দ্বীপ ও পৌর যুবলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান শামীমের নেতৃত্বে যুব ও ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে ওই অনুষ্ঠানে হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে বিএনপির সিরাজুল ইসলাম (৪২), দেলোয়ার হোসেন (৩৬), জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৮), যুবদল কর্মী আরিফ হোসেন (২৮), মো. আবু জাফর (৩২), শিকদার মমিন উদ্দিন (৩০) ছাত্রদল কর্মী সফিকুল ইসলাম (২৪), রিপনসহ (২৬) কমপক্ষে ১১ জনকে আহত করে।
এ সময় হামলাকারীরা গোলাম মোর্শেদ মাসুদ, আল আমিন হাওলাদার, মিরাজ শিকদারের মোটরসাইকেলসহ পাঁচটি মোটরসাইকেল ও মাহফুজ মোল্লার চাচা হালিম মোল্লার বসতঘর ভাঙচুর করে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বরিশাল জেলা উত্তর বিএনপির মানবাধিকার সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আবু বক্কর, সরকারি গৌরনদী কলেজের সাবেক জিএস ফুহাত হোসেন অ্যানি, বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম শাহীন, মতিউর রহমান, বিএনপি নেতা মানিক মৃধা, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জি এম সুনান, মাসুম বেপারী, সবুজ হাওলাদার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোর্শেদ মাসুদ, মাসুম হাওলাদার, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহফুজ মোল্লা, বার্থী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হাওলাদারসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে।
এদিকে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান দ্বীপ বলেন, ‘হামলার ঘটনায় যুব ও ছাত্রলীগের কোনও নেতাকর্মী জড়িত নয়। মাহফুজ মোল্লার বাড়িতে জামায়াত ও বিএনপির ক্যাডাররা গোপন বৈঠক করছিল। এ খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেলে তারা ছুটাছুটি করলে পুলিশ জামায়াত ও বিএনপির ক্যাডারদের আটক করে।’
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখান থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।