এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর বরগুনা সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিতের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর বরগুনা সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম ও চতুর্থ শ্রেণির তিন বিষয়ের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। প্রশ্ন ফাঁসের সত্যতা পেয়ে সদর উপজেলার ২৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল মজিদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি নজরে আসে। তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস রবিবার অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দেন। গণিত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হওয়ায় রবিবারের পরীক্ষা স্থগিত করে আগামী ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নতুন প্রশ্নে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন, বেতাগী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) আবদুস সালাম ও বেগাতী উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর এ কে এম শহীদুল্লাহ। এই কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বরগুনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁস: ২৪৮ স্কুলের পরীক্ষা স্থগিত