ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী জানান, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরিশাল সফর করবেন। এ উপলক্ষে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের অনুরোধে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ঝালকাঠি ও বরিশাল বাস মালিক সমিতির দ্বন্দ্ব নিরসনে বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই সভায় যদি ন্যায্য হিস্যার দাবি পূরণ না হয় তাহলে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন করে বাস চলাচল বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে রবিবার (২১ জানুয়ারি) বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বরিশাল থেকে ঝালকাঠি হয়ে সরাসরি ছয় রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকা নিয়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরেরদিন থেকে বরিশাল মালিক সমিতির বাস ঝালকাঠিতে ও ঝালকাঠির বাস বরিশালে চলাচল শুরু করার কথা ছিল। তবে মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টার জন্য বাস চলাচল শুরু হয়েই ফের বন্ধ হয়ে যায়। এর পরে বুধবার সকাল থেকে আবারও বাস চলাচল শুরু করা হয়।
ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, '৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বরিশাল সফর করবেন। এ উপলক্ষে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের অনুরোধে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ঝালকাঠি ও বরিশাল বাস মালিক সমিতির দ্বন্দ্ব নিরসনে বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়েছে। এদিন উভয় পক্ষের কথা শুনে বিভাগীয় কমিশনার সিদ্ধান্ত দেবেন। যদি ন্যায্য হিস্যার দাবি পূরণ না হয়, তাহলে পুনরায় এসব রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।'
প্রসঙ্গত, ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ঝালকাঠি বাস ও মিনি বাস মালিক সমিতি গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে ঝালকাঠির সড়ক ব্যবহার করে বরিশাল বাস মালিক সমিতির ২২টি বাস দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে টানা ৩৬ দিন দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে এসব রুটে ভেঙে ভেঙে যাতায়াত করেছেন যাত্রীরা।