হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

 যাবজ্জীবন

পিরোজপুরে হত্যা মামলার রায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সোনাখালী গ্রামের মৃত আবুল খায়ের মোল্লার ছেলে। পিরোজপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) খান মো.আলাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার বাদুরতলী গ্রামের হেমায়েত মৃধার ছেলে কলেজ ছাত্র জাহিদুল ইসলাম রফিকুলের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোনে কিনেন। ওই সময় রফিকুল মোবাইলের চার্জার পরে দিবে বলে তাকে জানায়। ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর বিকেলে সোনাখালী গ্রামের আলীপুর বাজারের একটি দোকানের সামনে বসে জাহিদুল তার কাছে মোবাইলের চার্জার চায়। রফিকুল চার্জার না দেওয়ায় দুই জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে রফিকুল তাকে মারধর করে। এসময় স্থানীয়রা জাহিদুলকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জাহিদুল ইসলামের খালাতো ভাই কালাম বাদী হয়ে রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত শেষে সাত জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দেন। সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত রফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ছয় জনকে বেকুসর খালাস দেন।

আরও পড়ুন: তনু হত্যাকাণ্ড: দুই বছরেও কোনও আসামি ধরা পড়েনি