পটুয়াখালীতে গৃহবধূর মুখ ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ





পটুয়াখালীপটুয়াখালীতে শিরিন আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মুখ ঝলছে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তার ছেলে। তার মা এখন পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মহিলা সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। শনিবার (২৪ মার্চ) সকালে পটুয়াখালী ডিসি স্কয়ার মঞ্চ মাঠে এই ঘটনা ঘটে।

শিরিন বরগুনা জেলার গাবতলী গ্রামের আবু তালেব মিয়ার স্ত্রী।
শিরিন আক্তারের ছেলে রাহাত জানান, তার চাচা আব্দুল লতিফের কাছে তারা ৫০ হাজার টাকা পান। টাকা দিতে গড়িমসি করায় তারা পটুয়াখালী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মামলাটি উঠিয়ে নেওয়ার শর্তে আজ ৩০ হাজার টাকা দিতে রাজি হয় তার চাচা। এতে তার মা রাজি হন।
রাহাত জানান, তার মা চার মাস ধরে ফরিদপুর আটরশি পীরের মাজারে কাজ করছেন। আজ (শনিবার) সকালে চাচা আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে ইমরান এবং প্রতিবেশী নজরুল ফরিদপুর মাঝার থেকে তার মা শিরিনকে নিয়ে পটুয়াখালীতে আসেন। পরে শিরিনকে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পূর্ব পাশে ডিসি স্কয়ার মাঠে নিয়ে তার মুখে তরল জাতীয় দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান। তারাই রাহাতকে ফোন করে তার মায়ের অবস্থার কথা জানান এবং সতর্ক হতে হুমকি দেন। পরে রাহাত এসে তার মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আব্দুল লতিফের ছেলে ইমরান বলেন, ‘এটা আমাদের বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমি এর কিছুই জানি না।’
পটুয়াখালী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল বাশার জানান, দাহ্য পদার্থে ওই নারীর কপাল ও গাল ঝলসে গেছে। রোগীর স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, পাওনা টাকা নিয়ে ভাসুরের সঙ্গে বিরোধের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।