সাপ আতঙ্কে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ

ভোলার লালমোহনে সাপ আতঙ্কে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধভোলার লালমোহনের পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া কেরামতিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক ও তার আশপাশের এলাকায় গত কয়েকদিনে প্রায় আড়াইশ সাপের হত্যা করেছেন স্থানীয়রা। প্রতিদিন ক্লিনিকের ভেতর থেকে বিষধর সাপের বাচ্চা বের হওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ক্লিনিকের সব কার্যক্রম। এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই ক্লিনিকটির ভেতরে ও আশপাশে সাপের আনাগোনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি ক্লিনিকের ভেতর সিমা নামের এক রোগীকেও সাপে দংশন করে। তার চিৎকারে স্থানীয় জনতা লাঠি নিয়ে এসে প্রায় দেড় শত সাপের বাচ্চা মেরে ফেলেন। পরে ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. মাহাবুবুর রহমান বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানালে তিনি সাময়িক সময়ের জন্য সেবা নিতে আসা রোগীদের অন্যস্থানে সেবা নেওয়ার জন্যে বলেন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্লিনিকের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

সোমবার দুপুর থেকে বুধবার পর্যন্ত আরও প্রায় একশ সাপের বাচ্চা মারা হয় ওই ক্লিনিক ও তার আশপাশের এলাকা থেকে। বড় সাপ গুলো না মারতে পারায় আতঙ্ক বিরাজ করছে ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগী ও এলাকাবাসীর মাঝে।

সেবা নিতে আসা রোগী মো. আবু তাহের, মো. বেলাল হোসেন, পারভীন আক্তার বলেন, ‘আমরা সাপের ভয়ে ক্লিনিকে সেবা নিতে যেতে পারছি না। সেখানে প্রতিদিন ক্লিনিক ও তার কাছের এলাকায় বিষধর সাপ দেখা যায়।’

ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিন এখানে সাপ দেখা যায়। সেজন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশে ক্লিনিকের ভেতরে সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে অন্য স্থানে সেবা দেওয়া হচ্ছে’।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘ওই ক্লিনিকের সিএইচসিপি বিষয়টি আমাকে জানানোর পরে আমি বিষয়টি জেলা সিভিল সার্জনকে জানালে তিনি বলেছেন পার্শ্ববর্তী কাচারিতে রোগীদের সেবা দিতে। অন্যদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী ওই ক্লিনিকের ভিতরে কার্বোলিক এসিড দেওয়া হয়েছে।’