সভাপতি স্বাক্ষর না করায় বেতন পাননি মাদ্রাসার ২১ শিক্ষক-কর্মচারী

ঝালকাঠিঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার উত্তর সাউদপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ২১ শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা এখনও হয়নি। মাদ্রাসার জিবি ফান্ডের ১ লাখ টাকা আত্মসাত ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির পদ নিয়ে বিরোধের জের ধরে শিক্ষক-কর্মচারীরা এ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার চার শিক্ষক বলেন, ‘পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম সরফরাজ বেতন ও ঈদ বোনাসের বিলের কাগজে স্বাক্ষর দিচ্ছেন না। তাই আমাদের ২১টি পরিবার ঈদ বোনাস ও বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তার কমিটির মেয়াদ আছে ২৪ জুন পর্যন্ত।’

তারা জানান, সোমবার (১১ জুন) রাতে বিষয়টি নিয়ে খাইরুল আলম সরফরাজ এমপি বিএইচ হারুনের বাসায় গেলে তিনি সব শিক্ষকের বেতন শিটে স্বাক্ষর করে দিতে বলেন। কিন্তু, এখনও স্বাক্ষর করেন সভাপতি।

রাজাপুর উপজেলার উত্তর সাউদপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ও রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম সরফরাজ বলেন, ‘অধ্যক্ষ মো. মোবাক্ষের হোসেন আমার কাছে কয়েক মাস আগে এসে মাদ্রাসার নামে জিবি ফান্ডের ১ লাখ টাকা কৃষি ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে ইসলামী ব্যাংকে রাখার প্রস্তাব দেন। টাকা উত্তোলন করে তার কাছে তুলে দেই। কিন্তু পরে জানতে পারি যে, অধ্যক্ষ সাহেব ১ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে ওই টাকা দিয়ে ব্যক্তিগত ঋন পরিশোধ করেন। টাকা জমা না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন— কিছু দিন পর ওই টাকা পরিশোধ করে দেবেন। কয়েক মাসেও টাকা জমা না দেওয়ায় এ দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। কিন্তু অধ্যক্ষসহ দুই জন বাদে অপর শিক্ষকদের বেতনে আমি স্বাক্ষর দিতে চেয়েছিলাম। এমপি সাহেব সোমবার রাতে তার বাসায় বসে সব শিক্ষকদের বেতনে স্বাক্ষর করে দিতে বলায় আমি সকালে তাদের ডেকেছিলাম। তারা না আসায় স্বাক্ষর করা হয়নি।’

রাজাপুর উপজেলার উত্তর সাউদপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মোবাক্ষের হোসেন বলেন, ‘কৃষি ব্যাংক থেকে ১ লাখ টাকা উত্তোলন করে ইসলামী ব্যাংকে জমা দেইনি। মাদ্রাসার টয়েলেট নির্মাণে এ টাকা ব্যয় করেছি। ১ মাস পরে এই টাকা ইসলামী ব্যাংকে জমা দিয়ে দেবো।’