ইমামের মাথায় মলমূত্র ঢালার মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

বরিশালবরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ইমাম আবু হানিফার (৫০) মাথায় মল-মূত্র ঢেলে লাঞ্ছিত করার মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর খন্দকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে পাবনা জেলার বেড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জাহাঙ্গীর খন্দকার বাকেরগঞ্জ উপজেলার হোছনাবাদ এলাকার মৃত ইসতেহার খন্দকারের ছেলে।

বরিশালের পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম জানান, গত ১১ মে ইমামের মাথায় মল-মূত্র ঢালার ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর খন্দকার গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে বুধবার রাতে পাবনা জেলার বেড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার বাদী কাঁঠালিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও নেছারবাগ বায়তুল আমান জামে মসজিদের লাঞ্ছিত ইমাম আবু হানিফা বলেন, পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়েছি বুধবার রাতে পাবনা জেলার বেড়া এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর খন্দকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হন এইচ এম মজিবর ও জাহাঙ্গীর খন্দকার। নির্বাচনে ইমাম আবু হানিফা সভাপতি প্রার্থী এইচ এম মজিবর রহমানের পক্ষ নেন। এইচ এম মজিবর রহমান বিজয়ী হন।এ নিয়ে দ্বন্দ্বে জাহাঙ্গীর খন্দকার ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন সময় ইমাম আবু হানিফাকে হুমকি দিয়ে আসছিল।

গত ১১ মে ফজরের নামাজের পর ইমাম আবু হানিফা মসজিদ থেকে বের হলে তার পথরোধ করে পরাজিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর খন্দকার ও তার লোকজন। এ নিয়ে ইমামের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর খন্দকারের এক সহযোগী ইমাম আবু হানিফার হাত ধরে ফেলে। এ সময় ইমন নামে তার আরেক সহযোগী হাঁড়িভর্তি মল-মূত্র এনে ইমাম আবু হানিফার মাথায় ঢেলে দেয়। সেইসঙ্গে তাদের উল্লাসে ফেটে পড়ার দৃশ্য ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়।

এ ঘটনায় ১৩ মে ইমাম আবু হানিফা বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর খন্দকার, জাকির হোসেন জাকারিয়া, মো. মাসুম সরদার, মো. এনামুল হাওলাদার, মো. রেজাউল খান, মো. মিনজু, জাহাঙ্গীর খন্দকার, সোহেল খন্দকার ও মিরাজ হোসেনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে আসামি ফরহাদ হোসেন, মো. মিনজু, বেল্লাল হোসেন ও সোহেল খন্দকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তবে, আসামি জাকির হোসেন জাকারিয়া, মো. মাসুম সরদার, মো. এনামুল হাওলাদার ও মো. রেজাউল খান এখনও পলাতক রয়েছেন।