‘কারও চাপের কাছে নির্বাচন কমিশন নতি স্বীকার করবে না’

01বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে কারও চাপের কাছে নির্বাচন কমিশন নতি স্বীকার করবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও শিথিলতা বরদাস্ত করা হবে না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, খুলনা-গাজীপুরের মতো নির্বাচন বরিশালে হতে দেওয়া হবে না।’

সোমবার (১৬ জুলাই) বিকালে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজের নাসিমুজ্জামান মেহেদী মিলনায়তন সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিসিসি নির্বাচনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচনে কোনও অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে শুধু নির্বাচনের ফলাফল স্থগিতই নয়, সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করা হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভোট একটি আমানত, কোনও প্রত্যয়ে ব্যর্থ ঘটলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাবিশ্বসহ দেশের মানুষ সিটি নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। তাই কোনও ক্রমেই এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেওয়া হবে না। নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতি উৎসাহিত হয়ে কিছু করবেন না। করলে প্রয়োজনে তাদেরসহ প্রার্থীর পদ বাতিল করা হতে পারে।’

বরিশাল আঞ্চলিক নির্বচন কার্যালয়ের আয়োজনে রিটার্নিং অফিসার মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসময় মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, বরিশাল মেট্রোপলিটন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান, উপ-পুলিশ কমিশনার আবদুর রউফ।

সভায় নির্বাচন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনে ভোটাররা নির্বাচনের দিন নির্ভয়ে যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা বলেন, আমরা ক্ষমতায় আছি, আমার আত্বীয়-স্বজনরা ক্ষমতায় আছে, এটা কি আমার অপরাধ। আমরা চাই না নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হোক।’

ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, ‘নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকলে জনগণ বেশি খুশি হতো। আমরা নির্বাচন কমিশনে যেসব অভিযোগ দিয়েছি সেসব ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে পারিনি।’ নির্বাচনে কারচুপি ঠেকাতে ভোটের দিন সকালে ব্যালট-বক্স ও ব্যালট পৌঁছানোর অনুরোধ জানান তিনি।

লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, খুলনা ও গাজীপুরের সিটি নির্বাচনে কোনও ধরনের মারামারি-হানাহানি না হলেও, ভোটে অনিয়ম হয়েছে। বরিশালে খুলনা ও গাজীপুরের মতো নির্বাচন হলে আমাদের আর বলার কিছুই নেই।’