শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলতে না দেওয়ায় শিক্ষকের ওপর হামলা

বরিশাল

বরিশালের আগৈলঝাড়ায় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলতে না দেওয়ায় বখাটের হামলায় স্কুল শিক্ষক আহত। বখাটের হামলায় আহত উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের ঐচারমাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাপস মাখন দেউরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল হক তালুকদার জানান, আহত ঐচারমাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপস মাখন দেউরীকে রোববার হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তার চিকিৎসার খোঁজখবর এবং তাকে আইনি সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) নকীব আকরাম হোসেন বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আহত শিক্ষকের বরাত দিয়ে হাসপাতাল সূত্র জানায়, আগৈলঝাড়া উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের ঐচারমাঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত শনিবার সকালে ক্লাস চলাকালীন সময় বখাটেরা ঢুকে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী তমা বাড়ৈকে খুঁজতে থাকে।

তমা উপজেলার বারপাইকা গ্রামের মিলন বাড়ৈর মেয়ে। সে  দোয়েল গার্লস হোস্টেলের পঞ্চম  শ্রেণির আবাসিক ছাত্রী। এ সময় ক্লাস শিক্ষক তাপস মাখন দেউরী তাদের কাছে ক্লাসে এসে তমাকে খোঁজার কারণ জানতে চান এবং সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।

বখাটেরা তখন শিক্ষক তাপস মাখন দেউরীকে হুমকি দিয়ে স্কুল থেকে চলে যায়।

এঘটনায় শনিবার স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে ৫-৬ জনের একটি দল শিক্ষক তাপস মাখন দেউরীর পথরোধ করে হামলা চালায়। হামলাকরীদের মধ্যে ঐচারমাঠ এলাকার জুড়ান বেপারির ছেলে আকাশ, সুনীল হালদারের ছেলে সৈকত, উপেন বাড়ৈর ছেলে হৃদয়, মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে নিউটনসহ আরও কয়েকজন ছিল।

এসময় শিক্ষক তাপস মাখন দেউরীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

সুনীল হালদারের আরেক ছেলে সাগর হালদার জানায়, ঐচারমাঠ দোয়েল গালর্স হোস্টেলের দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। তারা এবিষয়ে জানতে তমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু শিক্ষক তাপস মাখন দেউরী অভিযুক্তদের বাঁধা দেয়। এ কারণে তার ওপর হামলা করা হয়েছে। এঘটনায় আহত শিক্ষকের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।