নাজিরপুরে সেতু ভেঙে ভোগান্তিতে ৫ গ্রামের মানুষ

নাজিরপুরে সেতু ভেঙে ভোগান্তিতে ৫ গ্রামের মানুষ পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ী ও দীর্ঘা ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের নাওটানা ও পাকুরিয়া গ্রামের তালতলা শাখা নদীর ওপর সেতুটি (লোহার খুটির উপর ঢালাই) প্রায় চার বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। এতে দেউলবাড়ী ও দীর্ঘা ইউনিয়নের দুটি ইউনিয়নের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ কারণে পাকুরিয়া, যুগিয়া, নাওটানা, রামনগর, চাঁদকাঠীসহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে।

জানা গেছে, ২০০৬ সালে পিরোজপুর এলজিইডি কার্যালয় থেকে প্রায় ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে দীর্ঘা ইউনিয়নের নাওটানা ও দেউলবাড়ী ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া তালতলা শাখানদীর ওপর এসেতুটি নির্মাণ করা হয়। এরপর নাওটানা ও পাকুরিয়া গ্রামের মধ্যে সড়ক যোগাযোগা সৃষ্টি হয়। অভিযোগ আছে সেতুটি নির্মাণের সময় নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল।

পাকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা গাওখালী আমভিটা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুস আলী শেখ জানান, সেতুর অভাবে মাত্র কয়েক মিনিটের পথ অনেক দূর ঘুরে কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে প্রতিদিন স্কুলে যেতে হচ্ছে।

দেউলবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এফ এম রফিকুল আলম বাবুল জানান, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় দীর্ঘা ও দেউলবাড়ী ইউনিয়নের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী এবং স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। জন ভোগান্তি লাঘবে এটি খুব দ্রুত নির্মাণ বা মেরামত করা প্রয়োজন।

দীর্ঘা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন বলেন, ‘আমি ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালে উপজেলা পরিষদের একাধিক সভায় সেতুটি সংস্কারে বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছিলাম কিন্তু বরাদ্দ না পাওয়ায় সেতুটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।’

নাজিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন মিয়া বলেন, ‘সেতুটি মেরামত করার জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে মেরামতের কাজ হাতে নেওয়া হবে।’