মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন: হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

বরিশাল

উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে নৌকা প্রার্থী ও সতন্ত্র প্রার্থী পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।

বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাকরাবুনিয়া এলাকায় স্বতন্ত্র প্রাথী আবু বকর সিদ্দিকির সমর্থক রফিকুল ইসলামের ওপর হামলার করা হয়।পরে রাত ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসেনের ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে বলে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনার পর ওই রাতেই সুবিদখালী এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনি অফিসের সামনে রাখা একটি নৌকায় অগ্নিসংযোগ  করা হয়।

বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও সতন্ত্র প্রার্থী খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী জানান, হামলাকারীরা রাত ৩টার দিকে আমার সমর্থক মো. সোহেল হোসেনের ঘরের দরজা নক করে বলে ভাই কিছু পোস্টার লাগবে। দরজা খুলতেই মুখোশধারী ৭/৮জনের একটি দল ঘরে ঢুকে টিভি ও সোফাসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। পরে সব বাইরে বের করে অগ্নিসংযোগ করে। এর আগে রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের ভাটামারা এলাকায় রফিকুল ইসলাম নামে আমার এক সমর্থক লিফলেট বিতরণ করে বাড়ি ফেরার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে হামলা করে। পরে আহত রফিকুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে ভাটামার এলাকার মো. মাসুম আলমের ছেলে।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গাজী আতাহার উদ্দিন আহম্মেদ বলেন,‘গতকাল বুধবার রাতে ভাটামারা এলাকায় আমার নির্বাচনি অফিসের সামনে এসে ৫০/৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল কাঠের তৈরি একটি নৌকায় অগ্নিসংযোগ করে। আমি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করিও না, পছন্দও করি না। আমি ১ বার উপজেলা চেয়ারম্যান ও তিনবার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ছিলাম। একটা পক্ষ আমার সুনাম খুণ্ন করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি।