ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা নিচ্ছে না পাথরঘাটা থানা

বরগুনাবরগুনার পাথরঘাটায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তারা মামলা করতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ওসি মামলা নেননি। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে হরিণঘাটা বনে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

মেয়েটির মা ও বড় ভাইয়ের অভিযোগ, ওই দিন বিকালে তারা পাথরঘাটা থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু, থানার ওসি হানিফ সিকদার মামলা নিতে রাজি হননি।

মেয়েটির দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে জলিল তাকে বানর দেখানোর কথা বলে হরিণঘাটা বনে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় হরিণঘাটা এলাকার ট্রলার চালক আলতাফ হোসেন ঘটনাটি দেখে ফেলে। একপর্যায়ে আলতাফও তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।

ওই ছাত্রীর অভিযোগ, তার বাবা মারা যাওয়ায় পর মা আবার বিয়ে করেন। তাই বড় ভাইয়ের কাছে থেকে পড়াশুনা করে। এক মাস আগে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের শাহজাহান প্যাদার ছেলে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী জলিল প্যাদার সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে কথা হয়। পরে জলিল তার পরিচয় গোপন করে বেলাল পরিচয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনার পর পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে জলিলের আসল পরিচয় জানতে পারে। 

অভিযোগের বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ওসি হানিফ সিকদার বলেন, ‘মামলা করার জন্য কেউ থানায় আসেনি। বরং আমরা ঘটনাটি জানার পর তাদেরকে মামলা করতে বলেছি।’ ঘটনার একদিন পরও মামলা হয়নি কেন  জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এঘটনায় জড়িত দোষীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘এদের মধ্যে আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল। জলিল প্যাদা পরিচয় গোপন রেখে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটিকে পার্কে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে জলিল প্যাদার মোবাইলফোনে কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

জলিল প্যাদা সদর ইউনিয়নের পদ্মা স্লুইজ এলাকার ব্যবসায়ী। বাদুরতলা গ্রামে তার বাড়ি।