স্থানীয় ও স্বজনরা জানান, ২০০৪ সালে সুবিধখালী রহমান ইসহাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন কিবরিয়া। তারপর সুবিধখালী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। ২০১৫ সালে পুলিশে চাকরি হয় কিবরিয়ার। বরিশালে পুলিশের সার্জেন্ট পদে যোগদান করেন তিনি।
স্থানীয়রা আরও জানান, কিবরিয়ার বাবা ইউনুস আলী সরদার রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের লেকচারার ছিলেন। তার মায়ের নাম সাহিদা বেগম। তারা দুজনে একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছে। তারা ছেলের লাশ আনতে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
তিন বছর আগে কিবরিয়ার বিয়ে হয়ে মৌসুমির সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে তারা বরিশালে থাকতেন।
কিবরিয়ার চাচা নিজাম উদ্দিন বলেন, কিবরিয়ার এমন মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যরা সবাই শোকাহত। মেধাবি ছাত্র ছিল সে। তার এভাবে চলে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাভার্ডভ্যান চাপায় গুরুতর আহত হন সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। তারপর তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে বিকাল সোয়া পাঁচটার দিকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে নেওয়া হয়। সেখানে মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।