লঞ্চের কেবিন থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

বরিশালবরিশাল-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী এমভি সুরভী-৮ লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে আঁখি আক্তার (২৯) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ জুলাই) সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

আঁখি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রিশিবপুর ইউনিয়নের বড়পুইয়াউটা গ্রামের বজলু ব্যাপারীর মেয়ে। তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী নগরের আদমজী ইপিজেডের অনন্ত অ্যাপেয়ারেলস লিমিটেডে অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।

বজলু ব্যাপারী জানান, আঁখির আদমজী নগরের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছরের এক মেয়েও আছে। তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপড়েনে সন্তান নানাবাড়ি বাকেরগঞ্জেই থাকে। গ্রামের বাড়িতে ভোটার কার্ডের জন্য আসার কথা ছিল আঁখির। শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিনগত রাতে এমভি সুরভী-৮ লঞ্চে সদরঘাট থেকে আঁখি বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেয়। লঞ্চে ওঠার সময় তার সঙ্গে একবার কথা হয়। পরে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে যথাসময়ে বাড়ি না ফিরলে এবং মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেলে আঁখির সন্ধানে নামেন স্বজনরা। পরে বরিশাল লঞ্চঘাটে এসে জানতে পারেন, লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

লঞ্চের সুপারভাইজার মেজবাহ উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে লঞ্চের নিচতলার স্টাফ (লস্কর) কেবিনে ওঠেন আঁখি আক্তার। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এক যুবক। রাতে ওই দুজন দুটি ডেক টিকিটও সংগ্রহ করেন। শনিবার সকালে লঞ্চটি বরিশাল ঘাটে পৌঁছালে স্টাফরা ওই কেবিনে গিয়ে আঁখিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তবে তার সঙ্গী ওই যুবকের দেখা যায় না। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন এবং স্বজনদের খবর দিলে তারা আঁখিকে শনাক্ত করেন।

ওসি নুরুল ইসলাম জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন করতে গিয়ে মনে হয়েছে, আঁখি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। তবে মেডিক্যাল পরীক্ষা ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।