জিয়া, এরশাদ ও খালেদা সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন করেছে: গণপূর্তমন্ত্রী


শোক দিবসগৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল দেশি-বিদেশি চক্র মিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে। পরে জিয়া, এরশাদ ও খালেদার অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন করেছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে স্বরুপকাঠি উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জিয়াউর রহমান খুনিদের দেশের বাইরে পুনর্বাসন করেন। তিনি (জিয়াউর রহমান) বঙ্গবন্ধুর হত্যার মদতদাতা ও উপকারভোগী। এরপর এরশাদ ও খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছেন, যা এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ’৭১-এর পরাজিত শক্তি প্রতিশোধ নিতে জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকেও হত্যা করে। তারপরও তারা শঙ্কামুক্ত হতে না পেরে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা করে। ’৭১, ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের আঘাতকারীরা এবং ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টাকারীরা একইসূত্রে গাঁথা।

মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর পরিবারের আত্মত্যাগকে শক্তিতে পরিণত করে আগামী দিনের সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এমএ বারী, সাবেক সচিব এম সামসুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মো. কামরুজ্জামান শামিম, জেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান ফুলু, স্বরূপকাঠি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম ফুয়াদ, পৌর মেয়র গোলাম কবির, জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জাকারিয়া খান স্বপন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস জাহান প্রমুখ।

পরে শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও গণভোজের আয়োজন করা হয়।