১৫ আগস্ট স্মরণে স্মৃতিচারণমূলক এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বরিশাল জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন এই আয়োজন করে। শনিবার (৩১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতের নির্মমতার শিকার তৎকালীণ মন্ত্রী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বড় ছেলে ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রাতে মিন্টো রোডের বাসায় গুলিবিদ্ধ হয়েও প্রাণে বেঁচে যাওয়া আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের পুত্রবধূ ও অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক শাহান আরা বেগম বলেন, ‘ঘাতকরা যখন মিন্টোরোডের বাসায় আক্রমণ করে, তখন আমার বড় ছেলে শিশু সুকান্ত আবদুল্লাহ কোলে উঠতে চেয়েছিল। কিন্তু, তখনকার ছোট ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ (বর্তমান সিটি মেয়র) কোলে থাকায় শেষবারের মতো সুকান্তকে কোলে নিতে পারিনি। এ সময় ঘাতকরা ব্রাশফায়ার করে নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে আমি গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্বশুর, ভাসুর, ননদ ও বড় ছেলেসহ পরিবারের অনেককে হারিয়েছি। ১৫ আগস্টের ঘটনায় বাদী হয়ে রমনা থানায় মামলা দায়ের করলেও সেই মামলার বিচার এখন পর্যন্ত হয়নি।’
সভায় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল সদর আসনের এমপি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম শোককে শক্তিতে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কাল রাতে তখনকার মন্ত্রী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের মিন্টো রোডের সরকারি বাসায় বিপথগামী সেনাদের গুলিতে রক্তাক্ত হয়ে প্রাণে বেঁচে যাওয়া বরিশালের ক্রিডেন্স ব্যান্ডের সদস্য খ ম জিল্লুর রহমান বলেন, ‘১৫ আগস্ট তার শরীরে একাধিক স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। এরপর থেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি ও তার পরিবার নিঃস্ব। এখনও তার চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্ত, আর্থিক অনটনের কারণে চিকিৎসা হচ্ছে না।’ তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চিকিৎসার সাহায্য চাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।