জানা গেছে, প্রায় তিন থেকে চার বছর আগে একই এলাকার সালাম খান ও আলমগীর খান নামে দুই ব্যক্তির কাছ থেকে প্রতাপ বাজারে ১৪ শতাংশ জমি কেনেন আলম। সেখানে তিন তলা ভবন নির্মাণ করেন তিনি। এর পাশে সওজ বিভাগের জমির ওপরে বালু ফেলে একটি ঘর তোলা শুরু করে আলম। সেখানে ‘বঙ্গবন্ধু ক্লাব ও পাঠাগার’ নামে একটি সাইনবোর্ড টাঙানো রয়েছে।
স্থানীয় যুব সমাজের দাবির প্রেক্ষিতে এই বঙ্গবন্ধু ক্লাব ও পাঠাগারের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আলম।
তবে স্থানীয় এনামুল ইসলাম নাজু নামে এক যুবক জানান, এই বাজারে প্রায় ২০ বছর আগে থেকে একটি ক্লাব রয়েছে, যেখানে স্থানীয় যুবসমাজ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। কিন্তু আলম ক্লাবের নাম করে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করতে চাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আলমগীর হোসেন আলম বলেন, ‘ওই জমির দলিল ও রেকর্ড আমার নামে। এরপরেও বিভিন্ন সময় কাজ করতে বাধা দেওয়ায় সওজ বিভাগের বিরুদ্ধে আমি আদালতে মামলা করেছি। আদালতের মাধ্যমে সওজ বিভাগ যদি এই জমি বুঝে পায়, তাহলে আমার কোনও আপত্তি নেই।’
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন বলেন, ‘সোমবার রাতে খবর পেয়ে আমাদের লোক সেখানে গিয়ে জমি দখলের বিষয় দেখতে পায়। আমরা এই দখল উচ্ছেদের ব্যাপারে শিগগিরই ব্যবস্থা নেবো।’
এ ব্যাপারে নলছিটির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার বলেন, ‘প্রতাপ বাজারে অনুমতি না নিয়ে সরকারি জমির ওপরে বালু ফেলে ঘর তুলছিলেন আলমগীর হোসেন আলম নামে এক ব্যক্তি। আমি জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে এই কাজ বন্ধ করে দেই।’