‘বুলবুলে’র প্রভাবে বাগেরহাটে বৃষ্টি, প্রস্তুত ২৩৪ আশ্রয়কেন্দ্র

বাগেরহাট

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’র প্রভাবে বাগেরহাটসহ উপকূলীয় এলাকাগুলোতে সকাল থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৈরি আবহাওয়ায় কারণে রাস্তায় মানুষের চলাচল কমে গেছে। এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার ৯ উপজেলায় ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি প্রস্তুতি সভা করেছে। এসময় জানানো হয়, ২৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে সদর উপজেলায় ৭টি, কচুয়ায় ৮টি, ফকিরহাটে ৫টি, মোল্লাহাটে ১০টি, চিতলমারী ২০টি, রামপালে ২৬টি, মোংলায় ৩৪টি, মোরেলগঞ্জে ৪২টি ও শরণখোলায় ৮২টি রয়েছে।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কামরুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সুন্দরবনে দুবলারচরে শুঁটকি পল্লিতে অবস্থানরত ১৫ হাজার জেলেকে ফিরিয়ে আনতে জেলা প্রশাসন, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী কাজ করছে। উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে মাইকিং করা হচ্ছে।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সুন্দরবনে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের ঘূর্ণিঝড় শুরু হলে প্রথমে নিজেদের জীবন বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দীন জানান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বন্দর জেটি ও আউটার অ্যাংকরেজে অবস্থানরত ১৩টি জাহাজ নিরাপদে রয়েছে।