সোমবার (১১ নভেম্বর) বরগুনা পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলার খাজুরতলা, লাকুরতলা, ধূপতি হেউলিবুনিয়া, নলী, পরীরখাল, গৌরিচন্না, ফুলঝুড়ি, বাওয়ালকারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের কারণে গাছ পড়ে ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) সূত্রে জানা গেছে, ৬৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে।
জরুরি প্রয়োজনে মুঠোফোন চার্জ দিতে না পারায় দুর্যোগে স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না অনেকেইে। কারও কারও ফোনে বিকল্প পদ্ধতিতে চার্জের ব্যবস্থা করতে পারলেও বিদ্যুৎ না থাকায় দেখা দিয়েছে নেটওয়ার্ক বিভ্রাট। কখনও কখনও নেটওয়ার্ক পাওয়াই যাচ্ছে না।
বরগুনার নয়াকাটা এলাকার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকার কারণে আমাদের দৈননিন্দন কাজে ব্যাপক অসুবিধা হচ্ছে। রাজধানীতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। দুর্যোগের পর আমদের মতো তারাও দুশ্চিন্তায় রয়েছে।’
দক্ষিণ খাজুরতলা গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহক বাদল বিশ্বাস বলেন, ‘বুলবুলের আঘাতে গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই দুই থেকে তিনটি গাছ ভেঙে গেছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে গ্রাম। আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাড়ির সামনের গাছ সরিয়ে লাইনটি ক্লিয়ার করে দিয়েছি।’
বরগুনা পৌরসভার মেয়র মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুতের অভাবে পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌর বাসন্দিরা। এছাড়া মুঠোফোনের নেটওয়ার্কও বারবার বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে দূরবর্তী ও প্রবাসীদের সঙ্গে স্বজরা কথা বলতে পারছেন না। ইন্টারনেট সেবাও বিঘ্নিত হচ্ছে।’
জানতে চাইলে বরগুনা বিদ্যুৎ সরবরাহ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইউসুফ বলেন, ‘বুলবুলের আঘাতে ৬৫ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ ক্ষতিগ্রস্ত লাইনের মেরামত করে আজ রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবারহ করা হবে বলেও তিনি জানান।
ইউসুফ আরও বলেন, ‘আমরা দুর্যোগের আগে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় গাছ পড়ে সঞ্চালন লাইনের ক্ষতি হয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।’