জয়নালের ভাই আব্দুর রহমান তালুকদার জানান, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ’৫৬ সালের মার্চে পূর্ব বাংলার গভর্নর হলে প্রাদেশিক পরিষদে তার আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে উপনির্বাচনে পিরোজপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার সাবেক মন্ত্রী ও মুসলিম লীগ নেতা স্বরূপকাঠির সেহাংগল গ্রামের খান বাহাদুর হাশেম আলী খান। এ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে বঙ্গবন্ধু স্বরূপকাঠিতে এসেছিলেন। এসময় তিনি বিভিন্ন এলাকায় জনসভা ও কর্মী সভায় ভাষণ দেন। জয়নাল আবেদিনকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
জয়নাল আবেদিনের ছোট ছেলে পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুনিরুজ্জামান নাসিম জানান, আওয়ামী লীগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, ইত্তেফাক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, মঠবাড়িয়ার মহিউদ্দিন আহমেদ, বরিশালের পিস্তল মহিউদ্দিন,আমির হোসেন আমুসহ যুক্তফ্রন্টের শরিক দলের অনেক নেতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নেন। ওই নির্বাচনে জয়নুল আবেদিন জয়ী হয়েছিলেন।