দুই সাংবাদিককে লাঠিপেটা, তিন পুলিশ সদস্য ক্লোজড

করোনা সংক্রমণ এড়াতে সরকারি প্রচারণার ছবি তুলতে গিয়ে দুই ফটোসাংবাদিককে লাঠিপেটার অভিযোগে বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। রবিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তাদের ক্লোজ করা হয়। পাশাপাশি ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান এসব তথ্য জানান।


ক্লোজ করা পুলিশ সদস্যরা হলেন—কনস্টেবল মো. জাহিদ, মো. কাওসার এবং নায়েক মো. মহসিন।

লাঠিপেটায় আহত দুই সাংবাদিক হলেন—আঞ্চলিক দৈনিক দেশ জনপদ পত্রিকার ফটোসাংবাদিক শাফিন আহমেদ রাতুল এবং দৈনিক দক্ষিণের মুখপাত্র পত্রিকার ফটোসাংবাদিক নাসির উদ্দিন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘এ ঘটনা তদন্তে উপপুলিশ কমিশনার মোকতার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আহত শাফিন আহমেদ রাতুল ও নাসির উদ্দিন বলেন, ‘সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেন গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যান। এ সময় তার বহরে পুলিশের দুটি পিকআপ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছার পর মাস্ক পরা একজন পুলিশ সদস্য আমাদের পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেওয়ার পরও ওই পুলিশ সদস্য আমাদের লাঠিপেটা করেন। লজ্জায় তাৎক্ষণিক আমরা বিষয়টি চেপে যাই। শনিবার রাতে সহকর্মীদের বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ কমিশনার জানতে পারেন।’