বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ লঞ্চে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর শুরু করেন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগেই লঞ্চের নিচ ও দ্বিতীয় তলার অবকাঠামো ও আসবাবপত্রসহ সাজসজ্জা পুড়ে যায়।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, 'ধারণা করা হচ্ছে মশার কয়েল অথবা ধূমপানের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। তবে তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত কারণ জানানো সম্ভব নয়।'
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, 'চন্দ্রদ্বীপ লঞ্চটি বরিশাল-লক্ষ্মীপুর রুটে চলাচল করতো। সরকারি নির্দেশে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার সব রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে প্রায় ৩০টি লঞ্চ নদী বন্দরের পন্টুনে নোঙর করে রাখা ছিল। এর মধ্যে একটিতে আগুন লাগে।' এ সময় তিনি নৌবন্দরের নিরাপত্তার দাবি জানান।