আম্পানে পিরোজপুরে দেয়াল চাপা ও আতঙ্কে তিন জনের মৃত্যু

পিরোজপুরঘূর্ণিঝড় আম্পানে দেয়াল চাপা ও আতঙ্কে পিরোজপুরে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে একজন পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর এবং অপর দুই জনের বাড়ি মঠবাড়িয়া উপজেলায়। নিহতদের একজন দেয়াল চাপায় এবং অপর দুই জন আতঙ্কিত হয়ে মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ মে) ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান জানান, পাড়েরহাট ইউনিয়নের উমেদপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ট্রলার মেকানিক শাহআলম (৫৫) তার স্ত্রীকে নিয়ে ঘরে ছিল। বুধবার রাত দুইটার দিকে ঝড়ের সময় পানি বাড়তে থাকে। পানি ঘরে ঢুকলে তারা দুজনে খাটের ওপর উঠে। একসময় পানি খাট ছুইছুই হলে শাহআলম আতঙ্কিত হয়ে মারা যান।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান জানান, দাউদখালী ইউনিয়নের গিলাবাদ গ্রামের শ্রমজীবী শাহজাহান মোল্লা (৫৫) শহর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ঝড় শুরু হলে বুধবার রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নম্বর সড়কের একটি বাড়ির সীমানা দেয়াল তার ওপর ভেঙে পড়ে। পরে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আমরাগাছিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম জানান, রাত ৯টার দিকে প্রচণ্ডবেগে বাতাস ও ঝড় শুরু হলে ধূপতিগ্রামের গোলেনুর বেগম (৭০) তাদের প্রতিবেশী হাবিব হওলাদারের বাড়িতে আশ্রয় নিতে যায়। কিন্তু হাবিব হাওলাদারের ঘরে পৌঁছে স্টোক করে মারা যান তিনি। ওসি মাসুদুজ্জামান জানান, গোলেনুর ওরফে গোলবান ঝড়ে ভয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

এদিকে পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া, খেতাছিড়া, কচুবাড়িয়া, মিরুখালী ও রাজারহাটে বেড়িবাঁধ ও বাঁধের ঢালের কিছু ক্ষতি হয়েছে। খেতাছিড়া গ্রামে ৩৬ থেকে ৪০ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে উপকূলীয়সহ সাত জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।