সোমবার (১৯ অক্টোবর) পিরোজপুর জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমি মিলনায়তনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট্রের আয়োজনে ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহযোগিতায় মঠ মন্দিরের অনুদানের চেক এবং আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সদর উপজেলার সকল দুর্গা মন্দিরের সভাপতি ও সম্পাদকের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর শারদ উপহার ও মন্ত্রীর ব্যক্তিগত তহবিলের অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদ্রোহী কবি নজরুল হামদ, নাত ও শ্যামা সংগীত রচনা করেছেন। আজ পর্যন্ত কোনও কবি তাকে অতিক্রম করতে পারেনি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সৃষ্টিতে শেখ হাসিনা বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন । সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টাকারীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে এ দেশের হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। রাম ও রহিমের রক্তে এদেশের সবুজ প্রান্তর রঞ্জিত হয়েছিল। আজ যদি আমরা অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরি করতে না পারি তাহলে কেনও সেদিন ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছিল?
শ ম রেজাউল করিম বলেন, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ ১ কোটি টাকা থেকে ১০০ কোটিতে উন্নিত করেছেন শেখ হাসিনার সরকার। মন্দিরভিত্তিক শিশু শিক্ষা ও গণশিক্ষা কার্যক্রম চলছে সারা দেশব্যাপী। এই কার্যক্রমও শুরু করেছেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা মনে করেন এদেশ সকলের, তাই তিনি সেইরূপ ব্যবস্থা নিয়ে থাকেন। দেশ ত্যাগের মানসিকতা পরিত্যাগের জন্য তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানান। আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন করার কথাও বলেন তিনি।
বক্তব্য শেষে মন্ত্রী জেলার বিভিন্ন মঠ মন্দির সংস্কারের জন্য হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ৭ লাখ ৭৮ হাজার টাকার চেক মন্দির কমিটির হাতে তুলে দেন। এছাড়া দুর্গাপূজা উপলক্ষে পিরোজপুর সদর উপজেলার ৬৫টি পূজামণ্ডপে নিজ তহবিল থেকে অনুদান প্রদান করেন।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি সুরঞ্জিত দাস লিঠু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিমল মণ্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান খান তালুকদার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গৌতম চৌধুরী, জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী মনিকা মণ্ডল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু।