ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা


আহত ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দার পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বরগুনার বেতাগীতে ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার দুই পায়ের রগ কাটা গেছে।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সরিষামুড়ী ইউনিয়নের একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে কালিকাবাড়ি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ী ইউনিয়নের কালিকাবাড়ি বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান। এ সময় কালিকাবাড়ি বাজারে পৌঁছালে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে বরিশালে পাঠান।

ইউপি চেয়ারম্যান শিপনের শ্যালক উজ্জ্বল জানান, নির্বাচনি শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফের নেতৃত্বে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, সরিষামুড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বেতাগী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ শরীফের সঙ্গে ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপনের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে শিপনের নেতৃত্বে ইউসুফ শরীফের ওপর হামলা করা হয়। নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় পারবর্তীতে বেতাগীতে একটি সভায় ইউসুফ শরীফকে আবারও লাঞ্ছিত করেন শিপন। সেই ঘটনার জের ধরে আজ এই হামলা হয়েছে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মো. তারেক হাসান বলেন, আহত ইউপি চেয়ারম্যানের অবস্থা গুরুতর। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাম পা ও ডান পায়ের রগ কাটা গেছে। জখম হয়েছে ডান হাতে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এ বিষয়ে বেতাগী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার খবর শুনেই আমারা ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। কারা তার ওপর হামলা চালিয়েছে তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া না গেলেও নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রতিপক্ষরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে আমাদের ধারণা। সন্দেহভাজনদের ধরতে আমরা অভিযান শুরু করেছি।