কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূণ্যস্নান

চলছে পূণ্যস্নানপটুয়াখালীর কুয়াকাটায় রাতভর নামকৃর্তন আর পূজা অর্চনা শেষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের জলে পূণ্যস্নান শেষ করেছেন সনাতন ধর্মালম্বীরা। করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি এবং পূণ্যের আশায় সৈকতে মোমবাতি ও আগরবাতি জ্বালিয়ে   বেল পাতা, ফুল, ধান, দূর্বা, হরীতকী, ডাব, কলা, তেল, সিঁদুর প্রভৃতি সমুদ্রের নীল জলে অর্পণ করেন সনাতনী নারীরা।

 উলুধ্বনি ও মন্ত্রপাঠে পুরো সৈকতে বিরাজ করে এক উৎসব মুখর পরিবেশ। স্নানের পূর্বে মাথার চুল ন্যাড়া করাসহ প্রায়শ্চিত্ত ও পিণ্ডদান করেন অনেক মানতকারী। তবে এ বছর করোনা প্রার্দুভাবে বসেনি মেলা। তারপরও আগত পূণ্যার্থী এবং সকল ধর্মের হাজারও মানুষের উপস্থিতিতে এ উৎসব রূপ নেয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে। কলাপাড়ায় রাসের ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে ৫ দিন আর এ উৎসব হবে ৫ দিন। সুষ্ঠুভাবে উৎসব সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ছিল তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

মিতালি রানি বলেন,  আমরা ঢাকা থেকে  রাস উৎসবে এসেছি। প্রতি বছরই পূণ্যস্নান করতে আসি। কিন্তু এ বছর করোনা তাই সীমিত সময় থাকবো। আগের মতো আনন্দ হবে না বলে একটু মন খারাপ।

হিন্দু ধর্মালম্বীদের মতে দ্বাপর যুগে বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধীকার লীলা শেষে স্নান করে পূণ্যার্জন করেন।  সেই থেকে পূণ্যের আশায় রাসস্নানের প্রথা প্রচলিত কুয়াকাটায়।