যাত্রীবাহী লঞ্চ চালুর খবরে আনন্দের জোয়ার

দীর্ঘ ৪৬ দিন পর আগামীকাল সোমবার (২৪ মে) থেকে আবারও চালু হচ্ছে বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটসহ সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল। রবিবার (২৩ মে) সরকারি ঘোষণার পরপরই বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করে রাখা যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো ধোয়া-মোছা শুরু হয়। ছুটিতে থাকা কর্মচারীদের দ্রুত কর্মস্থলে ফিরতে বলা হয়। লঞ্চ চালুর খবরে আনন্দের বন্যা বইছে নৌযান শ্রমিকদের মধ্যে। তবে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বরিশাল নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।

করোনা সংক্রমণ রোধে ৬ এপ্রিল থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে সরকার। লঞ্চ বন্ধ থাকায় মালিকরা বেশিরভাগ কর্মচারীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন কোনও বেতন-ভাতা ছাড়াই। দু-একজন কর্মচারীকে লঞ্চ পাহারা দেওয়ার জন্য রাখলেও তাদের বেতন-ভাতা দিতো না মালিকরা। এতে নৌযান শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছিল। লঞ্চ চালুর দাবিতে তারা বরিশাল এবং চাঁদপুর নদী বন্দরে বিক্ষোভ করে। লঞ্চ মালিকরাও শনিবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে লঞ্চ চালুর দাবি জানান।

রবিবার সরকার সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান শুরুর ঘোষণা দেয়। ঘোষণার পরপরই শ্রমিকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলা হয়। লঞ্চ চালু হলে শ্রমিকরা কোনওমতে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারবে বলে জানান নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আঞ্চলিক সভাপতি আবুল হাশেম  লঞ্চ চলাচল শুরু করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি শাহ সাজেদা বলেন, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের কঠোর তদারকি জরুরি।

বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লঞ্চ চলাচলের অনুমতি ঢাকা থেকে মুঠোফোনে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় কার্যালয়। আগামীকাল থেকে লঞ্চ চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুসারে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বরিশাল-ঢাকা রুটসহ সারা দেশে যাত্রীবাহী ৭শ’ নৌযান রয়েছে। এতে কাজ করছে অন্তত ২০ হাজার নৌযান শ্রমিক।