এসআই’র বিরুদ্ধে থানার ভেতরে নারীকে হেনস্তা করার অভিযোগ

মামলা দায়েরের ৭ দিন পর গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রকাশ পেলো বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মো. আসাদের বিরুদ্ধে নারীর সঙ্গে অসদাচরণের ঘটনা। ওই নারীকে থানায় ডেকে কক্ষে আটকে শারীরিকভাবে হেনস্তার অভিযোগ মামলা করা হয়েছে।

গত ২৪ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন ওই নারী। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক পিবিআইকে নির্দেশ তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর। ওই সময় এ ঘটনা তদন্তে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হলেও থানা থেকে কোনও ধরনের পদক্ষেপ না নেওয়ায় ওই নারী আদালতের শরণাপন্ন হন।

মামলার এজাহার সূত্র থেকে জানা গেছে, গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালী মডেল থানায় প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন ওই নারী। ২৮ সেপ্টেম্বর তদন্তের জন্য নারীকে থানায় ডেকে নিজের কক্ষে বসতে দেন অভিযুক্ত এসআই আসাদ। অভিযোগের বিষয়ে আলাপকালে আকস্মিক ওই নারীর সঙ্গে অসদারচরণ করেন আসাদ। এর মধ্যে সেখানে আসেন নারীর স্বামী।

বিষয়টি থানার ওসি নুরুল ইসলামের নিকট অভিযোগ দিলে নারী পুলিশ কর্মকর্তা (এএসআই) রুমা পারভীনকে দিয়ে তদন্ত করার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও কথা দেন ওসি।

ওই নারী বলেন, ঘটনার দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও তদন্তের বিষয়ে তাকে কিছুই জানানো হয়নি। এ কারণে সর্বশেষ ২৪ মে খবর নেন এসআই আসাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা। তখন তিনি জানতে পারেন কোনও তদন্তই করা হয়নি। রাগে-ক্ষোভে ওই দিনই আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, ওই নারীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদন অভিযোগকারীর মন মতো না হওয়ায় তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

তবে সোমবার পর্যন্ত আদালতের নির্দেশের কপি পিবিআই’র পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পৌঁছায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন সেখানকার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির। কপি হাতে পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।