বাস ছেড়েছে সকালে, লঞ্চ ছাড়বে রাতে

শিল্প কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণার পর বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানীমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। রবিবারও (১ আগস্ট) নৌ ও সড়ক পথে একই অবস্থা দেখা যায়। বেলা ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলের অনুমতি থাকলেও বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে কোনও লঞ্চ ছাড়েনি। এ কারণে সবাই বাসে রাজধানীর দিকে ছুটছে। 

স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই না থাকলেও যাত্রীদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ। এদিকে আজ রাত পৌনে ৯টা থেকে ৯টার মধ্যে তিনটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ভোর থেকে রাজধানীর উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি বাস ছেড়ে গেছে। প্রতিটি বাস যাত্রীতে ভরা ছিল। এক সিট খালি রেখে যাত্রী বসানোর কথা থাকলেও কোনও বাসেই সেই নিয়ম মানা হয়নি। যাত্রীদের দেওয়া হয়নি হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এমনকি কোনও বাসে জীবাণুনাশক স্প্রেও করা হয়নি। তবে যাত্রীদের কাছ থেকে দেড় থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই কোনও বাসে

এদিকে শনিবার (৩১ জুলাই) রাতে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও যাত্রী না পাওয়ায় বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে কোন লঞ্চ ছাড়েনি। তবে সকাল থেকেই লঞ্চঘাটে যাত্রী আসা শুরু হয়। অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের ডেক যাত্রীতে পরিপূর্ণ। একইভাবে কীর্তনখোলা-২ ও কুয়াকাটাও প্রস্তুত রয়েছে। তবে এসব লঞ্চের কেবিনে কোনও যাত্রী নেই। আজ বরিশাল নৌ বন্দরে ওই তিনটিসহ মোট লঞ্চ রয়েছে আটটি। যাত্রী ও স্টাফ না থাকায় পাঁচটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে না।

এ ব্যাপারে বরিশাল নৌ বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ রাতে নির্ধারিত সময়ে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। বাকি দুটি লঞ্চও যাত্রী পেলে ছেড়ে যাবে।