দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার আগেই পেলেন টিকার সনদ

করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ আগেই নিয়েছিলেন বরগুনার মো. আল মামুন। তবে অসুস্থ থাকায় নির্ধারিত সময়ে নেওয়া হয়নি দ্বিতীয় ডোজ। টিকার দ্বিতীয় ডোজ না নিলেও দুই দিন পর তার মোবাইলে মেসেজ আসে তিনি টিকা গ্রহণ করেছেন। তাৎক্ষণিক সুরক্ষা অ্যাপে লগইন করে দেখেন সনদও তৈরি হয়ে গেছে। এতে হতবাক মামুন করোনার দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার বিষয়ে শঙ্কায় পড়েন। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, সার্ভারে জটিলতার কারণে এমন সমস্যা হলেও টিকা নিতে কোনও অসুবিধা হবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরগুনা পৌর শহরের কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা মো. আল মামুন। পেশায় শিক্ষক। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করেন। ১৭ জুলাই বরগুনা সদর হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে প্রথম ডোজ নেন। ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজের দিন নির্ধারিত ছিল। তবে অসুস্থ থাকায় তিনি টিকা নেননি। দুই দিন পরই দেখতে পান, তার মোবাইলে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন, এমন মেসেজ আসে। সুরক্ষা অ্যাপে গিয়ে দেখতে পান, প্রস্তুত টিকার দুই ডোজ নেওয়ার সনদও।

11

মো. আল মামুন বলেন, ‘আমি দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করিনি। তারপরও এমন বার্তা কেন এলো বলতে পারবো না। তবে শুনেছি সার্ভারে জটিলতার কারণে এমনটি হয়েছে। আমি অসুস্থ হওয়ায় গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছি। সুস্থ হয়ে হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ-খবর নেবো। পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি হলে বিপাকে পড়তে হবে।’

বরগুনা সদর হাসপাতালের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, শুধু বরগুনা নয়, সারাদেশেই কমবেশি কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সুরক্ষা অ্যাপটি অটো জেনারেট করে রাখায় এমন সমস্যা হচ্ছে। কেননা, নির্ধারিত তারিখ শেষে অটোমেটিক মেসেজ পৌঁছে দিচ্ছে এবং সনদ তৈরি হয়ে যাচ্ছে। তবে এটা সবার ক্ষেত্রে হচ্ছে না। মূলত সার্ভার সংশ্লিষ্ট জটিলতার কারণেই এমনটা হচ্ছে।

বরগুনা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. সোহরাব উদ্দীন বলেন, ‘এরকম একটি বিষয় শুনেছি। তবে যারা দ্বিতীয় ডোজ না নিয়েও সম্পন্নের মেসেজ পেয়েছেন তাদের ভয় কিংবা শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তারা কার্ড নিয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে গেলেই টিকা নিতে পারবেন।’

বরগুনা জেলার সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান বলেন, ‘সার্ভারে সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করছি স্বল্প সময়ে বিষয়টি ঠিক হয়ে যাবে। যাদের মোবাইলে টিকা গ্রহণের মেসেজ গেছে তারা ভয় পাবেন না। কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে গেলে টিকা পাবেন।’