পিটুনিতে জেলের মৃত্যু, ৪ পুলিশকে আটকে রাখলো জনতা

পটুয়াখালীতে নৌপুলিশের পিটুনিতে মো. সুজন মিয়া (৩০) নামের এক জেলের মৃত্যুর অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় চার নৌপুলিশের সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে দিকে কলাপাড়া উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের বাবলাতলা ছোট ঢোসের খালে পায়রা বন্দর নৌপুলিশের পিটুনিতে ওই জেলের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করে স্থানীয়রা।

মৃত সুজন মিয়া চর বালিয়াতলী এলাকার মৃত সত্তার হাওলাদারের ছেলে। পরে বিকাল সাড়ে ৫ টায় অবরুদ্ধ ওই পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে কলাপাড়া ও মহিপুর থানা পুলিশসহ উপজেলা প্রশাসন।

জেলের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

স্থানীয় ও ট্রলারের মাঝি মাসুদ চৌকিদার দাবি করেন, আজ সকালে তারা পাঁচ জেলে বাবলাতলা ঢোস এলাকা থেকে মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে সাগরে রওনা দেন। এ সময় পায়রা বন্দর নৌপুলিশের এএসআই মামুনসহ চার পুলিশ সদস্য একটি ট্রলার নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়ার পর জেলেরা ট্রলার নিয়ে ফের বাবলাতলা ছোট ঢোসের খালে প্রবেশ করে। পাঁচ জেলের চার জন পালিয়ে যান। এ সময় জেলে সুজনকে আটক করে নৌপুলিশের এএসআই মামুনসহ অন্যান্য সদস্যরা মারধর করেন। স্থানীয়রা সুজনকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা নৌপুলিশের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে।

কলাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ আহম্মদ আলী বলেন, ‘প্রায় ছয় ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করতে সক্ষম হয়েছি। নৌপুলিশের সদস্যরা বর্তমানে হেফাজতে রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত জেলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’