এহসানের এমডি রাগীব ও তার ৩ ভাই শ্যোন অ্যারেস্ট

গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুফতি মাওলানা রাগীব আহসান এবং তার তিন ভাইকে চার মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) তাদের পিরোজপুর আদালতে হাজির করে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। পরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইকবাল মাসুদ তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকরাম আলী মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এমডি নুরুল ইসলাম সরদার শাহজাহান জানান, মামলাগুলো সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পিরোজপুর সদর থানায় এহসান গ্রুপের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় এহসান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুফতি মাওলানা রাগীব আহসান, তার ভাই সহকারী পরিচালক আবুল বাসার, পরিচালনা কমিটির সদস্য তার অপর দুই ভাই মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও মো. খাইরুল ইসলামকে আসামি করা হয়।

পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা আজাদ হোসেন জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বাসা থেকে এহসান গ্রুপের এমডি মুফতি মাওলানা রাগীব আহসান ও তার ভাই আবুল বাশারকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। অপর দুই ভাই মাহমুদুল হাসান ও খাইরুল ইসলামকে পিরোজপুরের খলিশাখালীর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পিরোজপুর পুলিশ।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ মো. মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, পিরোজপুর সদর উপজেলার  মূলগ্রাম রায়েরকাঠী এলাকার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক হারুনার রশিদ বাদী হয়ে মুফতী মাওলানা রাগীব আহসান ও তার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৯১ কোটি ১৫ লাখ ৯৩৩ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ এনে প্রথমে পিরোজপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পরে পিরোজপুর সদর উপজেলার কুমারখালী এলাকার মো. হেমায়েত উদ্দিন বাদী হয়ে সদর থানায় ২ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। একই দিনে সদর উপজেলার শিকারপুর এলাকার মো. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে ২ লাখ ৭৫ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী এলাকার মো. মনির বাদী হয়ে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২০০ টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া একই উপজেলার ছোটশৌলা গ্রামের আবুল হোসেন বাদী হয়ে ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের করেন।

আরও খবর:  সুদমুক্ত জীবনের আশায় এহসানে ২০ লাখ টাকা রেখেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা