ইলিশ ধরায় ৭ জেলের এক বছর করে কারাদণ্ড

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় বরিশালে সাত জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (৩ অক্টোবর) গভীর রাতে বরিশালের সন্ধ্যা নদীতে ইলিশ শিকারের সময় তাদের আটক করা হয়।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- সঞ্জয় মন্ডল (২৮), হিরু লাল (২৬), রমেশ হালদার (২৬), যতিন বাইড়ি (৪৫), আব্দুর রহমান (৩৩), তপন ডেউড়ি (৩৪) ও দিলীপ বিশ্বাস (৩২)।

এদিকে নগরীর বাজার এবং ফিশিং বোটে অভিযান চালিয়েছে মৎস্য অধিদফতর। সোমবার (৪ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর ডিসিঘাট থেকে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং কোস্ট গার্ড সদস্যরা অভিযানে সহায়তা করেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে রবিবার মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য নদ-নদী এবং সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। বরিশাল অঞ্চলে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র বেশি। এ কারণে এ অঞ্চলের নদ-নদীর দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাকালে যাতে কেউ নদ-নদীতে মাছ শিকার করতে না পারে সে লক্ষ্যে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মৎস্য বিভাগ যৌথ অভিযান শুরু করেছে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে তাদের জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।’

জেলেদের নৌকায় বরিশাল জেলা প্রশাসনের অভিযান

তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গভীর রাতে সন্ধ্যা নদীতে মাছ শিকারের দায়ে আটক সাত জেলেকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে।

মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন বাজারে এবং কীর্তনখোলা নদী-নদী সংলগ্ন খালে ভেড়ানো জেলেদের নৌকায় অভিযান চালানো হয়। তবে কোনও ইলিশ মাছ পাওয়া যায়নি। অভিযানে ছিলেন- মৎস্য অধিদফতরের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জীব সন্যামত এবং পুলিশের টিম।’

উল্লেখ্য, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর সমুদ্রে ও নদ-নদীতে যেকোনও ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।