প্রকল্পের ঘর দিতে অর্থ আদায়, একজনের কারাদণ্ড

বরিশাল সদর উপজেলা‌য়র ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাতের অপরাধে খলিলুর রহমান নামে একজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে আটক করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। খলিলুর রহমানসদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের রায়পাশা গ্রামের ফারুক হাওলাদারের ছেলে।

ভুক্তভোগী রিয়াজ হোসেন বলেন, বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের বারইকান্দি ও পতাং গ্রামে গিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন খলিল। এরপর ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প থেকে যাদের বাড়ি প্রয়োজন তাদের কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা নেন। এরপর ঘর না দিয়ে টাকা উত্তোলনকারীদের ঘোরাতে থাকেন। সর্বশেষ ইউএনওকে ম্যানেজ করার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে আরও ১০ হাজার টাকা করে দাবি করেন। ঘর না পাওয়ায় টাকা ফেরত চান ভুক্তভোগীরা। কিন্তু তিনি ঘোরাতে থাকেন। এর মধ্যে একজনকে চেক দেন। ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে সেখান থেকে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। তখন তারা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।

রবিবার টাকা দেওয়ার কথা বলে খলিলকে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড নথুল্লাবাদে আনা হয়। সেখান থেকে আটক করে ইউটএনও মুনিবুর রহমানের কাছে সোপর্দ করেন ভুক্তভোগীরা।

ইউএনও’র নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বরিশাল সদর ভূমি কর্মকর্তা নিশাত তামান্না। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে প্রতারক খলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। তিনি ১৫ জনের কাছ থেকে তিন লাখ ৭৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই অপরাধে তাকে এক বছরের সাজা দিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের মাধ্যমে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।