আল্টিমেটাম শেষ হলেও মেলেনি আশ্বাস, চলছে না লঞ্চ

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর যাত্রী ভাড়া পুনর্নির্ধারণ না করায় লোকসানের আশঙ্কায় বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটে শনিবার (৬ নভেম্বর) থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। রবিবার (৭ নভেম্বর) লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সুন্দরবন লঞ্চ কোম্পানির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ভাড়া সমন্বয় না করা পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। 

তিনি আরও বলেন, তেলের দাম বাড়ায় বরিশাল থেকে ঢাকা যেতে প্রতি ট্রিপে এক থেকে দেড় লাখ টাকার জ্বালানি খরচ বেশি হচ্ছে। লঞ্চ মালিক সমিতি গত শুক্রবার জরুরি সভা করে রেজ্যুলেশন আকারে ভাড়া পুনর্নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে আবেদনও করা হয়। শনিবার দুপুরের মধ্যে ভাড়া পুনর্নির্ধারণের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। এমনকি মালিক নেতৃবৃন্দকে ডেকে কোনও আশ্বাসও দেওয়া হয়নি।

এ অবস্থায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। সরকার ভাড়া সমন্বয় না করা পর্যন্ত নৌযান চলাচল করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।

এদিকে নৌ ও সড়কপথে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন ঢাকামুখী মানুষ। তারা অতিরিক্ত টাকা গুনে মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে ছোট ছোট যানে মাওয়া হয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। সাধারণ যাত্রীরা এ ভোগান্তির দ্রুত সমাধান দাবি করেছেন। 

বরিশাল নৌ বন্দরে আসা একাধিক যাত্রী বলেন, আমাদের নিয়ে লঞ্চ ও বাসের ব্যবসা। যাদের নিয়ে তারা ব্যবসা করেন তাদেরকে জিম্মি করে এভাবে বছরের পর বছর আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু সরকার থাকছে নিশ্চুপ। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার। 

এদিকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক রয়েছে বরিশাল নৌ বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে লঞ্চ চলাচল। তবে যাত্রীদের অভিযোগ কোনও ঘোষণা ছাড়াই আসন প্রতি ভাড়া বৃদ্ধি করেছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।