সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে কোটি টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান শিকদারের (৩২) ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে কোটি টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত হাসান শিকদার বর্তমানের পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে পৌর শহরের ব্যামাগার চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ উঠেছে, সন্ত্রাসীরা সাইদুল নামে এক ক্ষুদে ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর করেছে। হামলা শেষে ব্যাংক থেকে তোলা হাসান শিকদারের প্রায় কোটি টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার পরপর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ এলাকায় টহল দিচ্ছেন।

আহত ছাত্রলীগ নেতা হাসান শিকদার অভিযোগ করে বলেন, ‘সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটি নম্বর (০১৭২৩****১৯) থেকে আকাশ পরিচয়ে একাধিকবার কল দিয়ে আমার অবস্থান নিশ্চিত করে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করে। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে পুনরায় কল করে আমার অবস্থান জানে আকাশ। পরে আমিসহ ছাত্রলীগের সহকর্মীরা শহরের ব্যামাগার এলাকার সাইদুলের চায়ের দোকানে আছি বলে কলকারীকে জানাই।’ কিছুক্ষণ পরই হামলার শিকার হন হাসান ও তার সহকর্মীরা।

হাসান জানান, কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগে অন্তত অর্ধশতাধিকের একটি বাহিনী এসে সাইদুলের চায়ের দোকানে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর করে। হামলাকালে মিজান ও ওরফে কেচি মিজান, আসাদ, মুন্না, মতিউর রহমান, মো. আরিফ, আকাশ, আল-আমিন, ওয়ালি মিরাজরা হাসান ও তার সহকর্মীদের এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হাসানের গলায় আঘাত করলে মারাত্মক জখম হয়।

হাসানের অভিযোগ, ‘হামলার পূর্বে ঠিকাদারি কাজের প্রয়োজনে তার স্ত্রী ও নিজ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় কোটি টাকা উত্তোলন করে বাসায় ফিরছিলেন। বাসায় ফেরায় পথেই এ হামলার শিকার হন এবং হামলাকারীরা সঙ্গে থাকা পুরো টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।’

হামলাকালে হাসানের সঙ্গে থাকা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমন হাসান খোকা ও সাবেক সহ-সভাপতি আল-আমিন শিকদার বলেন, ‘আমরা সবাই সাইদুলের চায়ের দোকানে অবস্থান করছিলাম। এ সময় মিজান ও তার লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। মিজান পিস্তল বের করে হাসানের মাথায় তাক করে টাকা দাবি করে। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতি দেখে মিজান ও তার বাহিনী নিয়ে সটকে পড়ে।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মিজা‌নের মোবাইল নম্বরে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়‌।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সম্ভবত পূর্বের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও শত্রুতার জেরে এ হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’