বরিশালে একদিনেই ইভ্যালির রাসেলের বিরুদ্ধে ৩ মামলা

ইভ্যালির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে বরিশালে চেক জালিয়াতির পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। রবিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাগুলোর আবেদন করা হয়।

বিকালে আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ পৃথক তিনটি মামলা আমলে নিয়ে সমন জারি করেন। মামলার বাদীরা হলেন- বরিশাল নগরীর বাসিন্দা নিলয় শরীফ, সাদিকুর রহমান সুরুজ ও মো. ফেরদাউস।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী চারচিল মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, বাদী নিলয় মোটরসাইকেল কিনতে সাড়ে তিন লাখ টাকা জমা দেন। তাকে ছয় মাসের মধ্যে মোটরসাইকেল না হলে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। অপর বাদী সুরুজও মোটরসাইকেলের জন্য দুই লাখ ৭১ হাজার টাকা জমা দেন। তাকেও একইভাবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বাদী ফেরদাউসও মোটরসাইকেলের জন্য ইভ্যালিকে এক লাখ ৭৪ হাজার টাকা দেন।

ওই টাকার বিপরীতে তিন বাদীকে মোটরসাইকেল না দিয়ে চেক দেয় ইভ্যালি থেকে। ওই চেক নির্ধারিত ব্যাংকে জমা দেওয়া হলে তা প্রত্যাখ্যাত হয়। সেখান থেকে বলা হয়, ওই হিসাব নম্বরে টাকা নেই। প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা আদালতের শরণাপন্ন হন।

এ তিন মামলার আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এরপর টাকা ফেরত চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠানো হয় ইভ্যালির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেলের কাছে। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান থেকে উকিল নোটিশের কোনও জবাব দেওয়া হয়নি। পরপর তিনবার উকিল নোটিশের কোনও উত্তর না পাওয়ায় মামলা করা হলে বিচারক সমন জারির নির্দেশ দেন।’