বরগুনার ২২ জন নিখোঁজ

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে স্মরণকালের ভয়াবহ লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বরগুনার ২২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের খুঁজে পাননি স্বজনরা। তারা বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে নিখোঁজ ২২ জনের খসড়া তালিকা করেছে বরগুনা জেলা প্রশাসন। আহত ও নিহতদের তালিকা তৈরি করতে গ্রামে গ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে। বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান।

নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন, বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের মো. মইন (২৬), মো. আব্দুল্লাহ (৩৮), আছিয়া বেগম (৪০), বুড়িরচর ইউনিয়নের মাইঠা গ্রামের ইদ্রিস খান (৪০), পাথরঘাটার পপি আক্তার (২০), সদর উপজেলার ছোট আমতলী গ্রামের জয়নব বেগম (৪৫), মানিকখালী গ্রামের আব্দুল হাকিম (৪৫), তার স্ত্রী পাখি বেগম (৩৫) ও ছেলে মো. নসরুল্লাহ (৩), বালিয়াতলী ইউনিয়নের পরীরখাল গ্রামের রাজিয়া (৩২), তার মেয়ে নুসরাত (১৭), বরগুনার মোল্লার হোড়া গ্রামের তাসলিমা আক্তার (৩২), সুমাইয়া আক্তার মীম (১৫), সুমনা আক্তার তানিশা (১২), ছেলে জুনায়েদ (৭), পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়নের ফকিরবাড়ি মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক (৪২), একই এলাকার মো. রাকিব (১৮), পাথরঘাটার তাবাসসুম (২), তালতলী উপজেলার ছোটবগীর কামাল শিকদারের স্ত্রী রেখা বেগম (৩৫), তার নাতি মো. জুনায়েদ শিকদার (৭), বেতাগীর জাহানারা বেগম (৪৫) ও বেতাগীর কাজীরাবাদ গ্রামের এনামুল হক রিয়াজ (৩২)।

বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, লঞ্চ দুর্ঘটনার ঘটনায় বরগুনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ ও অগ্নিদগ্ধদের তালিকা করতে গ্রামে গ্রামে মাইকিং করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২২ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে আমরা তালিকা করেছি।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নলছিটির সুগন্ধা নদীর পোনাবালীয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন। ঢাকায় পাঠানো হয়েছে ১৬ জনকে। পাশাপাশি আহত হয়েছেন শতাধিক।