বরিশাল শিক্ষাবোর্ড প্রতিষ্ঠার পর চলতি বছর এইচএসসিতে রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করলেও কলেজগুলোতে নেই উৎসবমুখর পরিবেশ। ফল জানতে কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা। মোবাইল ফোনে পরীক্ষার ফল জানার কারণে কলেজে উৎসব নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এই শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ কুমার গাইন বলেন, ‘এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৭৬ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৯৭১ জন। তাদের মধ্যে ছাত্রী ৬ হাজার ৪৯০ এবং ছাত্র ৩ হাজার ৪৮১ জন।’
তিনি জানান, বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার ৩৩০টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ৬৬ হাজার ৭৯৬ জন। পাস করেছেন ৬৩ হাজার ৯৬৪ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৩০ হাজার ২৮৯ জন এবং ছাত্রী ৩৩ হাজার ৬৭৫ জন। মোট কেন্দ্র ছিল ১২১টি।
এদিকে, এবারের পরীক্ষায় গ্রামের শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করতে পারেনি বলে দাবি অনেকের। একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘করোনার কারণে বেশির ভাগ ক্লাস হয়েছে অনলাইনে। যার জন্য স্মার্টফোন থেকে শুরু করে ইন্টারনেট সংযোগ ছিল বাধ্যতামূলক। এ জন্য আমরা যারা শহরে ছিলাম তারা সেই ক্লাস শতভাগ রপ্ত করতে পারায় ভালো ফলাফল হয়েছে। কিন্তু গ্রামের শিক্ষার্থীদের অনেকেই সেই সুযোগ পায়নি। তা ছাড়া তারা কলেজের ক্লাসের ওপর নির্ভরশীল থাকে। এ কারণে গ্রামের শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা অনুযায়ী ফল করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ এ বিষয়টি সরকারকে ভেবে দেখার আহ্বান জানান তারা।
অমৃতলাল দে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র পাল বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের খুব ভালো প্রস্তুতি ছিল না। তারপরও চেষ্টা ছিল ভালো পরীক্ষা দেওয়ার। তাদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল এবং এইচএসসি পরীক্ষায় ঐচ্ছিক ফল মিলিয়ে এই ফল এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৯৫ জন এবং পাস করেছে ৮৮৭ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ২১ জন।’
এদিকে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ থেকে ৪৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ কর্নেল সাইফুল হক আহমেদ। এ জন্য তিনি শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিনন্দন জানান।
প্রসঙ্গত, গত বছর বরিশাল শিক্ষাবার্ডে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার ছিল শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৫ হাজার ৫৬৮ জন।