বামনা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কারাগারে

নির্বাচনি সহিংসতার মামলায় বরগুনার বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়া গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন হোসেন জনিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরগুনার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বামনা) রাসেল মজুমদারের আদালতে হাজির হয়ে ওই মামলার ১০ আসামি জামিন চাইলে আট জনকে জামিন দেওয়া হয়। তবে এক নম্বর আসামি আল-আমিন হোসেন জনি ও  দুই নম্বর আসামি মোর্শেদ শাহরিয়া গোলদারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

একই মামলায় জামিনপ্রাপ্তরা হলেন– উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুজ্জামান সগির, জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন পিন্টু, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কবীর হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা আল-আমীন, মুন ফরাজী, যুবলীগ নেতা অমি তালুকদার ও মো. রাব্বি।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২১ জুন প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বামনা উপজেলার চার ইউনিয়নে ভোট হয়। ওই নির্বাচন ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে তা স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। স্থগিতের আগে ২২ মার্চ উপজেলার গোলচত্বরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার শিকার হন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী তরিকুজ্জামান সোহাগ। সেখানে তিনি গুরুতর আহত হন। ওই ঘটনার একদিন পর ২৩ মার্চ বরগুনা কোর্টে তরিকুজ্জামান সোহাগ বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ২৬ নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আদালত ১০ আসামিকে হাজির হতে নির্দেশ দেন।

ওই মামলায় আজ প্রথম শুনানির দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী বাদল মিয়ার নেতৃত্বে নাজমুল আহসান রাসেল ও ইমরান হোসেন আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান পান্না ও অ্যাডভোকেট ওয়ালিউল্লাহ অলি।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন বলেন, ‘নির্বাচনি সহিংসতার জেরে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি।’ সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে ছাত্রনেতাদের মুক্ত করে আনা হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে মামলার বাদী স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘আমার ওপর হামলার বিচার আদালতের মাধ্যমে পাবো। বাকি আসামিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’