সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীর আত্মহত্যার অভিযোগ

পিরোজপুরের নাজিরপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার রিতা ঘরামী (২৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মো. সজল মোল্লাকে (২৫) গ্রেফতার করেছে। সজল গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার বানারজোড় গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। রবিবার (১৫ মে) ভোরে তাকে বানারজোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

এর আগে শনিবার (১৪ মে) সকালে ওই গৃহবধূর মরদেহ উপজেলার দেউলবাড়ি দোবরা ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের স্বামী সুনিল মণ্ডলের বাড়ির একটি আম গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। নাজিরপুর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাজিরপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই নারী বিভিন্ন সময় কেনাকাটার জন্য গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া যাওয়ার পথে উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের তরুরবাড়ি গ্রামের আ. জলিলের ছেলে মো. জিসানের (২৭) উত্ত্যক্তের শিকার হতেন। শুক্রবার (১৩ মে) বিকালে কোটালিপাড়া গেলে জিসান ওই নারীকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। পরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে কোটালিপাড়ার লিঙ্ক রোড এলাকায় তাকে ফেলে যায় জিসান ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ক্ষোভে ও লজ্জায় ওই নারী আত্মহত্যা করেন বলে দাবি করেছে স্বজনেরা।

ওসি মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে সজল মোল্লাসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও দুই জনকে অজ্ঞাত রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন।