আসামি ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও, সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২০

গ্রেফতার আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও করেছিলেন ভাই ও সমর্থকরা। বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে আট পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৭ জুন) বিকাল ৫টায় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মহিপুর ও কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  

পুলিশ জানায়, গত বুধবার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন ওই ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী আবদুল জলিল ঘরামীর ভাই খলিল ঘরামী লোকজন নিয়ে কবির মোল্লার ওপর হামলা করেন। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। কবির মোল্লা ওই ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য আবুল হোসেন কাজীর সমর্থক। বর্তমানে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে কবির মোল্লার স্ত্রী শিউলী বেগম বাদী হয়ে খলিল ঘরামীসহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মহিপুর থানার মামলা করেন। পরে বেলা ৩টার দিকে খলিলকে গ্রেফতার করে মহিপুর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এতে শতাধিক সমর্থক নিয়ে থানা ঘেরাও করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে জলিল। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষুব্ধরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে থানার জানালাস ভেঙে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। 

আহত সাফিয়া বেগম বলেন, ‘পুলিশ কেন খলিল ঘরামীকে ধরে নিয়ে এসেছে, সেটা জানার জন্য থানায় এসেছিলাম। শান্তিপূর্ণভাবে থানার সামনে অবস্থান করেছি, কোনও ঝামেলা করিনি। এ সময় কয়েকজন পুলিশ এসে অবস্থানরত নারী-পুরুষ সবার ওপরে হামলা ও লাঠিচার্জ করে। এতে আমাদের ১৫ জনের বেশি লোক আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ 

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, থানার সেকেন্ড অফিসার আবদুল হালিম হাওলাদার, কনস্টেবল ওবাইদুল, মিলন মিয়া, আফজাল, শিলা রানি, নাসরিন ও লিজা বেগমসহ  আট জন পুলিশ আহত হয়েছেন। আহত দুই জনকে কলাপাড়া এবং ছয় জনকে মহিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।